স্টাফ রিপোর্টার: আর্থিক খাতের প্রতিনিধিরা দেশের নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) সুদের হারের সীমা প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে। তাদের এ আবেদন নাকচ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ বিষয়ে আর্থিক খাতের সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম রোববার (১১ আগষ্ট/২০২২) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে আর্থিক খাতে সুদ হারের সীমা প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি এই মুহূর্তে তা না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, সুদ হারের সীমা নির্ধারিত থাকায় আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় আমানত পাচ্ছে না। এর ফলে তারল্য সংকটের মুখে পড়েছে আর্থিক খাতের এ প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানে সুদের হার ৭ শতাংশে নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ সুদে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আমানত পাওয়া খুবই কঠিন। তিনি বলেন, দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার সুদের হারের চেয়ে বেশি হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে আগ্রহী হবে না আমানতকারীরা।
গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে আর্থিক খাতে সুদ হারের সীমা প্রত্যাহারের অনুরোধ নিয়ে বিএলএফসিএ প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে রোববার বেঠকে বসেছিল বলে মমিনুল ইসলাম জানান।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এনবিএফআই খাতের জন্য আমানতের সুদের হার ৭ শতাংশ এবং ঋণের ক্ষেত্রে ১১ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। গত ১ জুলাই থেকে যা কার্যকর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।