স্টাফ রিপোর্টার: কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যাংকিং খাত।
রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) আয়োজিত সিএক্সও সামিট-২০২২ অনুষ্ঠানে ‘ইন পারসুট অব সাসটেইনেবিলিটি’ শীর্ষক দিনব্যাপী আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, ভালো কোম্পানিকে টিকে থাকার জন্য গুড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম দরকার। তাই, নৈতিকতার ওপর কোম্পানিগুলোকে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, একটি কোম্পানির অনেক লোন থাকে ব্যাংকে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে সেই লোনগুলো পরিশোধ করতে পারে না। ফলে ব্যাংকগুলো আর্থিকভাবে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়ে। পাশাপাশি, অনেকে বেকার হয়ে পড়ায় ক্ষতির মুখে পড়ে অনেক পরিবার।
কোম্পানিগুলোর সাসটেইনেবিলিটি নিয়ে এ ধরণের আলোচনার জন্য ভেলোর অব বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান।
ভেলোর অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আনিস খান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অনষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইয়াসির আজমান, ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ারের চেয়ারম্যান মাসুদ খান, ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আকতার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক, আকিজ গ্রুপের পরিচালক খুরশিদ আলমসহ দেশীয় এবং বহুজাতিক কোম্পানির শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সামিটে জাতীয় অগ্রাধিকার এজেন্ডা এবং কার্যকর সমাধান ও সচেতনতা সৃষ্টির ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। একইসঙ্গে, কোম্পানিগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক উপকারার্থে বিভিন্ন ব্যবসায়িক মডেল নিয়েও আলোচনা করা হয়।
এর আগে, গত আগস্টে ভেলোর অব বাংলাদেশ ‘স্ট্রাটেজি সামিট’ এর আয়োজন করেছিল। মুদ্রাস্ফীতি ও খরচ, জ্বালানি অবকাঠামো, ফরেক্স ম্যাট্রিক্স, আরএমজি এবং ম্যানুফ্যাকচারিং, কৃষি অর্থনীতি, ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্সসহ ডিজিটাল অর্থনীতি বিষয়ে আলোচনা করা হয় ওই সামিটে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।