সকল মেনু

ডিএসইর লেনদেন পাঁচ সপ্তাহের সর্বনিম্ন

স্টাফ রিপোর্টার: পাঁচ সপ্তাহ পর আবার ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে টাকার অঙ্কে শেয়ার লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে। বৃহস্পতিবার এ বাজারে কেনাবেচা হয়েছে ৩৪০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার।

লেনদেন গত ৯ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন। ওই দিন ডিএসইতে ৩৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার।

ডিএসইতে গত ৮ জানুয়ারি ৭৪৮ কোটি টাকার তুলনায় বৃহস্পতিবার লেনদেন ৪৫ শতাংশ বা অর্ধেকেরও কম।

অধিকাংশ শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকার পাশাপাশি এর ওপরে থাকা এবং ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া শেয়ারের ক্রমাগত দরপতন লেনদেন কমায় বলে মনে করেন ব্রোকারেজ হাউস ও স্টক এক্সচেঞ্জ-সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তারা জানান, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনেক দিন ধরে শেয়ার লেনদেনে অংশগ্রহণ কম। ক্রেতা সংকটে প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক শেয়ারের এক টাকারও লেনদেন নেই। কয়েক মাস ধরে অল্প কিছু বড় বিনিয়োগকারী নিজেদের ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্টে শেয়ার কেনাবেচা করছেন। গতকাল তাঁদের লেনদেনের পরিমাণও কম ছিল।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৯১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩০৮টির কেনাবেচা হয়েছে। অর্থাৎ ৮৩টির কোনো লেনদেন হয়নি। সিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৭০ শেয়ারের ২৫২টিরই কেনাবেচা হয়নি।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া শীর্ষ ২০ কোম্পানির ২২১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ৬৫ শতাংশের বেশি। আর এর মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনেরই (বিএসসি) ৪৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার কেনাবেচা হয়েছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয় শাইনপুকুর সিরামিক্সের। বিএসসির লেনদেনে ভর করে বিবিধ খাতের ৪৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল খাতওয়ারি লেনদেনের সর্বোচ্চ।

সার্বিক হিসাবে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪১ শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১২২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৪৫টির দর। পৌনে ৯ শতাংশ দর বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল গোল্ডেন জুবলি মিউচুয়াল ফান্ড। বিপরীতে আড়াই শতাংশ দর হারিয়ে দরপতনের শীর্ষে ছিল আল-হাজ্ব টেক্সটাইল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top