সকল মেনু

উৎপাদনে ফিরেছে আজিজ পাইপস

সিনিয়র রিপোর্টার: ১৯৮১ সালে যাত্রা শুরু করে স্বর্ণপদক পাওয়া আজিজ পাইপস ‍লিমিটেড কর্তৃপক্ষ আবারো উৎপাদনে ফিরেছে। তবে মাসিক কি পরিমাণ উৎপাদন চলছে বা আনুপাতিক হার কতো- তা জানায়নি কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

আশির দশকের শেষদিকে দেশের অবকাঠামো খাতে বড় বিনিয়োগ আসতে শুরু করে এবং সে সময়ে দেশে সুপেয় পানির নলকূপ স্থাপনের কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পাইপের বৃহৎ যোগান দিতে থাকে আজিজ পাইপস।

১৯৮১ সালে আজিজ পাইপস লিমিটেডের বার্ষিক টার্নওভার ছিল প্রায় ৬০ কোটি টাকা, যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকায়।

আর্থিক সংকুলানের কারণে কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ হলেও ফের চালু করেছে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ। উৎপাদনে ফেরা সম্পর্কে জানতে চাইলে কোম্পানি সেক্রেটারি মি. জাকারিয়া বলেন, আমরা ফের উৎপাদন শুরু করেছি।

‘তুলনামূলক কম হলেও পণ্য উৎপাদন চলছে। তবে প্রতি মাসে কি পরিমাণ উৎপাদন হচ্ছে, তা এখুনি বলা যাচ্ছে না’ জানান তিনি।

শেয়ারর দরের চিত্রটি বুধবার দুপুরে ডিএসই থেকে নেয়া

বুধবার দুপুরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি দর ছিল ৮২.৭০ টাকা।

২৫ বছর আগেই আজিজ পাইপসের পরিস্থিতি ছিল পুরোই উল্টো। জনপ্রিয় টেলিভিশন বিজ্ঞাপন, রপ্তানিতে জাতীয় পদক এবং পুঁজিবাজারের শীর্ষ দশটি কোম্পানির একটি হিসেবে প্লাস্টিক পাইপের বাজারে আধিপত্য ছিল আজিজ পাইপসের।

এদিকে, কোম্পানির অডিটর রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড কো বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ঋণ সেবা ও সুদের সেবার অনুপাত কম হওয়ায় আজিজ পাইপসের ইক্যুইটি বরাবরই কমেছে। তারল্য এবং কাঁচামাল সংকটের কারণে কোম্পানিটি ২০২০-২১ আর্থিক বছরে তার উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ১১.২১ শতাংশ ব্যবহার করতে পেরেছে, অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে পাইপ প্রস্তুতকারকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ব্যাংকিং সেক্টরে ৪০ বছরের অভিজ্ঞ এসএম হেমায়েত উদ্দিনকে গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় কোম্পানির বোর্ড।

দায়িত্ব নেওয়ার পর হেমায়েত উদ্দিন কোম্পানির আর্থিক সমস্যা সমাধানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হন। মন্ত্রণালয়ে লেখা চিঠিতে তিনি ব্যাংক ঋণ নিয়মিত বা পুনঃনির্ধারণে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

১৯৮৫ সালে বার্ষিক ১২০০ টন ইনস্টল ক্ষমতা নিয়ে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে তারা। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ১২ বছরে কোম্পানিটি প্রতি বছর ৭৫০০ টন উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

বর্তমানে মতিঝিলের আজিজ ভবনে কোম্পানিটির হেড অফিস এবং ফরিদপুরে কারখানা। আবদুল হালিম, আহসান উল্লাহ ও আসাদ উল্লাহর হাত ধরেই কোম্পানিটি যাত্রা শুরু করে। উদ্যোক্তা পরিচালক হিসেবে তারা এখনও কোম্পানিটির বোর্ডে রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top