Homeখাতওয়ারী সংবাদদরপতনের কারণ ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অভাব আর আতঙ্ক’

দরপতনের কারণ ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অভাব আর আতঙ্ক’

সিনিয়র রিপোর্টার: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন সূচক বেড়ে শেষ হলেও বৃহস্পতিবার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিন্দুমাত্র উচ্ছ্বাস নেই। এই সপ্তাহের পাঁচটি কর্মদিবসে দুই দিন সূচক সামান্য বাড়লেও বাকি তিন দিন পতন দেখেছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা একে দেখছেন বাজারের প্রতি আস্থাহীনতার প্রতীক হিসেবে।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণা প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, পুঁজিবাজারের পরিসিথতি বানরের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উঠার অংকের মতো। ছোটবেলায় গণিতের এই হিসাব করেছি, এখন দেখছি।

চিত্রটি বুলবিডি (bullbd.com) থেকে নেয়া

তিনি বলেন, বাজারে চাহিদা ও যোগানে একটি ফারাক রয়ে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নেই। ব্যক্তিশ্রেণির ছোট বিনিয়োগকারী দিয়ে আর কয়দিন চলবে?

তিনি বলেন, এখনকার পরিস্থিতি এমন যে, বাতাস হলেও মার্কেট পড়ে। আমেরিকায় ব্যাংক ধসে পড়লে এখানে বাজার পড়ে। সারা বিশ্বের কোনো নেতিবাচক পরিস্থিতি থাকলেও এখানে এর প্রভাব পড়ে। কিন্তু বিশ্বে যখন সেখানে বাড়ে, তখন এখানে আর বাড়ে না।

আগের সপ্তাহ ‘ভালো’ করার পরও চলতি সপ্তাহে পুঁজিবাজারে এমন আচরণের পেছনে বিনিয়োগকারীদের একটি উৎকণ্ঠা কাজ করেছে বলেও মনে করেন এই বিশ্লেষক।

তিনি বলেন, একটা পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়েছে সিকিউরিটিজ ল আপডেট হবে। কারসাজির জরিমানা বাড়বে। কিন্তু এটা তো প্রবলেম না। তো প্যানিকড হওয়ারও কিছু নাই। কেউ কারচুপি করলে সাজা পাবে। যে পরিমাণ টাকা তারা আয় করেছে, সেই পরিমাণ জরিমানা আদায় করা হবে।

কিন্তু গত এক বছরে মার্কেটের রিটার্ন তো নেগেটিভ। কারচুপি করবে কোত্থেকে? আর অনেক সময় কেউ কেউ অনেক এগ্রেসিভ হয়ে যায়। রেগুলেটরদের কাজই তো সতর্ক করা। তাও না মানলে আইন তো থাকতে হবে। সেটা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত