Homeঅর্থনীতিদৈন্যতা কাটিয়ে পুঁজিবাজারে প্রাণ ফেরাতে বিএসইসির উদ্যোগ

দৈন্যতা কাটিয়ে পুঁজিবাজারে প্রাণ ফেরাতে বিএসইসির উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় দেশের শেয়ারমার্কেটে চলছে আর্থিক দৈন্যতা বা তারল্য সঙ্কট। এতে স্টক মার্কেট তার স্বাভাবিক গতি হারিয়ে বেশিরভাগ সময়েই চলছে ছন্দ পতনের ঢালু পথে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের সাথে শেয়ারদরের পতন যেন অতি স্বাভাবিক একটি বিষয়।

সঙ্কট মোকাবেলায় ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন তহবিল বা সিএমএসএফ থেকে বিনিয়োগকারীদের স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর ধারাবাহিকতায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি (বিএসইসি) তার সর্বশেষ বৈঠকে প্রাথমিকভাবে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ বিষয়ে বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কিছু আস্থার সঙ্কট রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে তারল্য সঙ্কট।

তিনি বলেন, উভয় সঙ্কট উত্তরণে কাজে লাগানো হচ্ছে সিএমএসএফের অলস অর্থকে। মার্চেন্ট ব্যাংক ও বড় ব্রোকারেজ হাউজ এখান থেকে ঋণ পেতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে বিএসইসির বেঁধে দেয়া কিছু শর্ত পরিপালন করতে হবে।

এ বিষয়ে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে বিএসইসি বলে জানান রেজাউল করিম।

বিএসইসির এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাজার বোদ্ধারা। তারা মনে করেন, এ উদ্যোগের ফলে অস্থিরতা কেটে স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে পুঁজিবাজারে।

তথ্যানুসারে, বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের ৭০০ কোটি টাকা জমা রয়েছে সিএমএসএফের তহবিলে। এ অর্থ থেকে বাজারে কিছুটা বিনিয়োগ হয়েছে সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে। আর, প্রায় ৫০০ কোটি টাকা রয়েছে ব্যাংকে এফডিআর ফান্ড হিসেবে।

বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩০০ কোটি টাকা স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হবে পুঁজিবাজারের তারল্য দূর করতে। তবে, এক্ষেত্রে গণহারে ঋণ দেয়া হবেনা। যেসব ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে, কেবল তারাই এর আওতায় আসবে।

এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ২০ কোটি টাকার মতো ঋণ পাবে। আর, এতে গ্রেস পিরিয়ড ধরা হতে পারে ৬ মাস থেকে এক বছর। অর্থাৎ, এ সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে না কোনো প্রতিষ্ঠানকে।

আবার, ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে হাউজগুলোকে নিজস্ব তহবিল থেকে বিনিয়োগ করতে হবে আরো ২০ কোটি টাকা। পাশাপাশি, ঋণ পেতে আগ্রহী ব্রোকারেজ হাউজের মালিকপক্ষের গ্যারান্টার হিসেবে তালিকাভুক্ত কোম্পানি থাকতে হবে। আর, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্যারান্টি দিতে হবে মূল প্রতিষ্ঠান থেকে।

শর্তানুযায়ী, ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি ছাড়া যত্রতত্র বিনিয়োগ করতে পারবেনা। এ ক্ষেত্রে বেছে নেয়া হয়েছে শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত