সকল মেনু

কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দাবি শেয়ারবাজারে

প্রস্তাবিত বাজেটে কালোটাকা সাদা করার যে সুযোগ রাখা হয়েছে, তার পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সংসদ সদস্য। এর মধ্যে এক সংসদ সদস্য শেয়ারবাজারেও কালোটাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি তুলেছেন। মঙ্গলবার,  জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়েছে। এই অধিবেশনজুড়ে সংসদ সদস্যরা বাজেটের ওপর আলোচনা করবেন।

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ৬ জুন সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে কালোটাকা সাদা করার প্রস্তাব নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ। অতীতেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার কর ফাঁকিদাতাদের বিশেষ সুবিধা দিলেও সৎ করদাতাদের সঙ্গে বৈষম্য করতে পারে না। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বৈষম্যমূলক ও অনৈতিক।

দুই মাস ধরে শেয়ারবাজার একেবারে তলানিতে উল্লেখ করে সম্ভব হলে সেখানে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান নূর মোহাম্মদ। তিনি অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, শেয়ারবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ করবেন। আমরা নতুন সংসদ সদস্য। এটা করতে পারেন, যাঁরা বিগত দিনে সংসদ সদস্য হয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে, আমাদের (প্রথমবার নির্বাচিত) ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করতে পারেন।

জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ বলেন, দুর্নীতি এখন সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়। এমন সব ব্যক্তির নাম সংবাদমাধ্যমে আসছে, যাতে আমাদের বিব্রত হতে হচ্ছে। বড় বড় পদে থেকে এত দুর্নীতি করা হয়েছে, যা বলে শেষ করা যাবে না।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবু জাহির বলেন, অনেকেই সমালোচনা করছেন যে এবারের বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। বিএনপির আমলে অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান নিজেই কালোটাকা সাদা করেছিলেন, এমনকি তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও কালোটাকা সাদা করেছিলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি ও এরশাদের আমলে বাজেট ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ রাস্তায়ও বিক্ষোভ দেখাত। এখন সেটা হয় না। এখন মানুষ উল্লাস দেখায় বলে তিনি দাবি করেন।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নিলুফার আনজুম বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। বাজেটে এটা নতুন কিছু নয়। তিনি সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক বসানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং এটাকে যুগান্তকারী হিসেবে উল্লেখ করেন।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে মনোযোগ দিতে হবে। অনেকেই ঋণ নিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করেন। এদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, নাইমুজ্জামান, হাবিবুন নাহার, তৌহিদুজ্জামান, এইচ এম ইব্রাহীম, আবুল কালাম আজাদ, মঈনুল হাসান খান, মাহবুব রহমান, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার প্রমুখ বাজেট আলোচনায় অংশ নেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top