সকল মেনু

বিজিআইসি ও তাল্লু স্পিনিং মিলসের সভা বুধবার

স্টাফ রিপোর্টার : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি) লিমিটেড ও বস্ত্র খাতের তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত বিজিআইসির সভায় চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) ও সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত তাল্লু স্পিনিংয়ের সভায় ২০২১-২২ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন ও প্রকাশ করা হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজিআইসি: সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপরিশ করেছে বিজিআইসির পর্ষদ। ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ১৮ আগস্ট বেলা ১১টায় রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের ঢাকা লেডিস ক্লাবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে ৭ জুলাই।

আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৬৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯ টাকা ৩৮ পয়সা।

তাল্লু স্পিনিং: সম্প্রতি চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন একই দিনে প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৬ পয়সা।

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮৬ পয়সায়।

২০২০-২১ হিসাব বছরে ২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে কোম্পানিটির। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সুদ বাবদ আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকায়। এর বিপরীতে এ সময়ে কোম্পানিটির ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পরিচালন লোকসান হয়েছে।

এছাড়া ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে ২৪ কোটি ৩০ লাখ ও ২০১৯-২০ হিসাব বছরে ৩০ কোটি ৮ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে কোম্পানিটির। এসব কারণে কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আশরাফ উদ্দীন অ্যান্ড কোম্পানি।

নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আর্থিক ব্যয় পরিশোধের সক্ষমতা না থাকায় কোনো কারণে যদি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোম্পানিটির ঋণ পুনঃতফসিল করতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে কোম্পানি চলতি মূলধন ও তহবিল সংকটে পড়বে। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি তাল্লু স্পিনিং।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top