সকল মেনু

স্কয়ার ফার্মার লভ্যাংশে চমক

স্টাফ রিপোর্টার: স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস তাদের কোম্পানির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে গত ৩০ জুলাই সমাপ্ত অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১০ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আগের বছর ৬০ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ৬ টাকা করে লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

কোম্পানিটির আয় লাফ দিয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত তাদের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২০ টাকা ৫১ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা।

কেবল গত বছরের চেয়ে বেশি আয় হয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২০১৭ সাল থেকে যে হিসাব দেয়া হয়েছে, তাতে দেখা যায়, এবারের এই আয় গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১০ টি। এই হিসাবে তারা লভ্যাংশ দেবে ৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার ১০০ টাকা।

কোম্পানিটির আয় যে এবার বাড়তে যাচ্ছে, তা প্রতি প্রান্তিক প্রতিবেদনেই দেখা গেছে। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ৬৪ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৫ টাকা ২৪ পয়সা, তৃতীয় প্রান্তিকে ৫ টাকা ১৫ পয়সা এবং চতুর্থ প্রান্তিকে আয় হয়েছে ৪ টাকা ৪৮ পয়সা।

১৯৯৫ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি এক দশক আগেও বোনাস লভ্যাংশে জোর দিয়ে এলেও পরে বোনাসের পাশাপাশি নগদ লভ্যাংশও দিতে থাকে। বড় মূলধনি কোম্পানিটি গত এক যুগের মধ্যে প্রথমবারের মতো গত বছর কেবল নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

কোম্পানিটির আয়ের পাশাপাশি বেড়েছে সম্পদমূল্যও। গত ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা, যা এক বছর আগে ছিল ১০২ টাকা ৫৪ পয়সা।

কোম্পানিটি ব্যবসা বাড়াতে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও নিয়েছে। এই অর্থে নতুন জমি, মেশিনারিজ স্থাপন এবং পুরনো মেশিন আধুনিকায়ন করা হবে।

যারা এবারের লভ্যাংশ নিতে চান তাদের আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত শেয়ার ধরে রাখতে হবে। সেদিনই এর রেকর্ড ডেট ঠিক করা হয়েছে। এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম ডাকা হয়েছে আগামী ২৪ ডিসেম্বর।

কোম্পানিটির আয় বাড়তে থাকলেও এর শেয়ারদর গত এক বছরে কমেছে। গত বছরের এই সময়ে শেয়ারদর ছিল ২৩০ টাকার বেশি। সেটি এখন নেমে এসেছে ২০৯ টাকা ৮০ পয়সায়। পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের মধ্যে প্রতিটি শেয়ারের যে সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দেয়া হয়েছে, এই দরেই গত এক মাসের বেশি সময় ধরে লেনদেন হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top