সকল মেনু

উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করতে যাচ্ছে মীর সিমেন্ট

সিনিয়র রিপোর্টার: এক বছরের মধ্যে নিজেদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি সিমেন্ট উৎপাদনকারী কোম্পানি ‘মীর সিমেন্ট’।

কোম্পানিটি এখন দিনে ২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন সিনেমন্ট উৎপাদন করতে পারে। ২০২৪ সালের মধ্যে তা ৫ হাজার মেট্রিক টনে নিয়ে চায় তারা।

এজন্য আগামী মাসেই নতুন একটি কারখানা চালু করতে যাচ্ছে মীর সিমেন্ট। সোমবার নারায়ণগঞ্জের মুরাপাড়ায় সেই কারখানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই লক্ষ্যের কথা জানানো হয়।

২০০৩ সালে তারা যখন যাত্রা শুরু করে, তখন দৈনিক উৎপাদনক্ষমতা ছিল মাত্র ৬০০ মেট্রিক টন। দুই দশকে তা চার গুণ করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির দুটি সিমেন্ট কারখানা ছাড়াও চারটি সিমেন্ট গুদাম, একটি কাঁচামালের গুদাম, একটি উপকরণের শেড ও পণ্য নৌ পথে আনা নেওয়ায় ১৪টি ছোট জাহাজ রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক এস এম রহমতুল্লাহ বলেন, “দেশের বাজারে আমাদের সিমেন্টের চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও আমাদের সিমেন্টের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে আগরতলাসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এবং মিয়ানমারেও আমাদের সিমেন্ট যাচ্ছে।”

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার, রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালসহ অনেক স্থাপনায় এই কারখানা থেকে সিমেন্ট সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

দেশে নির্মাণ খাতকে এগিয়ে নিতে এবং গুণগত মান নিশ্চিত করতে সর্বোত্তম ও উচ্চ মানসম্পূর্ণ কুইক সেটিং সিমেন্ট সরবরাহ করা মীর সিমেন্টের লক্ষ্য বলেও জানান রহমতুল্লাহ।

প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইনচার্চ মোহাম্মদ আসাদুর রহমান জানান, বর্তমানে দুই ধরনের সিমেন্ট উৎপাদন করছে মীর সিমেন্ট। একটি সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট (ওপিসি) এবং অন্যটি পোর্টল্যান্ড কম্পোজিট সিমেন্ট (পিসিসি)।

ওপিসি ফ্লাইওভার কিংবা বহুতল ভবনের মতো নির্মাণ কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। পিসিসি সব ধরনের নির্মাণকাজে ব্যবহার করা যায়।

তিনি বলেন, “বিম এবং কলামে ওপিসি ব্যবহারই যথেষ্ট। বাকিটায় পিসিসি ব্যবহার করা যাবে। ওপিসি তো অনেক ব্যয়বহুল। তাই ঠিকভাবে কাজ করলে পিসিসি দিয়েই ওপিসি’র স্ট্রেংথ পাওয়া সম্ভব।”

দেশে সিমেন্ট উৎপাদন করে তা রপ্তানি করা হলেও সিমেন্টের কাঁচামাল দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এর মধ্যে থাইল্যান্ড ও জাপান থেকে আসে ক্লিংকার। ওমান ও থাইল্যান্ড থেকে আসে জিপসাম ও লাইমস্টোন। জাপান থেকে আনতে হয় স্ল্যাগ এবং ফ্লাই অ্যাশ আসে ভারত থেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top