Homeবিশেষ সংবাদমার্চে ‘সুখবর আসছে’, তবুও লেনদেন চারশ কোটি

মার্চে ‘সুখবর আসছে’, তবুও লেনদেন চারশ কোটি

সিনিয়র রিপোর্টার: মার্চে ‘সুখবর আসছে’ বলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন চারশ কোটি টাকার ঘর ছাড়াল।

বেশ কিছুদিন পর এক দিনে শতাধিক কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির চিত্র দেখা গেল মঙ্গলবার। শতকরা হিসেবে দর বৃদ্ধির হারও ছিল ভালো।

এর মধ্যেও ফ্লোর প্রাইস তুলে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা এক শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়া বহু কোম্পানি এদিনও ওই হারে দর হারিয়েছে। গত ১৬ নভেম্বর থেকে টানা একই হারে ৪৭ কর্মদিবস দর হারাচ্ছে এমন কোম্পানিও আছে।

সূচক বেড়েছে আগের দিনের মতই ১৭ পয়েন্ট। টানা পতনের মধ্যে থাকা পুঁজিবাজারে পরপর দুই দিন সূচক বৃদ্ধির এই চিত্র গত ২ ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মত দেখা গেল।

১৬৯টি কোম্পানির মত বাকিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হবে বলে ছড়িয়ে পড়া গুজবের প্রভাব কাটতে শুরু করে সোমবার। আগের দিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে ‘বার্তা’ আসে, এ বিষয়ে কোনো চিন্তা ভাবনা নেই তাদের।

এরপর সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনই সূচক বাড়ল ১৭ পয়েন্ট করে। প্রথম দিন দরবৃদ্ধির তুলনায় দর হারানো কোম্পানির সংখ্যা বেশি হলেও পরের দিন বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির দর।

১০৬টি কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা এদিন লাভবান হয়েছে। বিপরীতে দর হারিয়েছে ৫৬টি। এর মধ্যে প্রায় সবগুলোর ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ঠিক করা হয়েছে এক শতাংশ।

তবে দর বাড়েওনি, কমেওনি- এমন কোম্পানির সংখ্যাই ছিল সবচেয়ে বেশি। ১৫৬টি শেয়ার আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে, যেগুলোর সবগুলোই ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে। তবে পরিমাণে খুবই কম।

৭২টি কোম্পানির একটিও শেয়ার হাতবদল হয়নি এদিন। এসব কোম্পানিও ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে।

সব মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে ৪২০ কোটি ৬৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকার শেয়ার যা গত সপ্তাহের শেষে এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে নেমে এসেছিল দুইশ কোটির ঘরে।

সবশেষ ১৫ ফেব্রুয়ারি লেনদেন হয় চারশ কোটি টাকার বেশি। সেদিন হাতবদল হয়েছিল ৪৩১ কোটি ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

‘সুখবর আসছে’

এদিন রাজধানীতে এক আয়োজনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, মার্চে তাদের জন্য ‘সুখবর আসছে’।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম

ব্রোকারেজ হাউজ ট্রাস্ট রিজিওনাল ইকুইটি লিমিটেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “মার্চ থেকে মে জুনের মধ্যে ব্যাংকগুলোর ডিভিডেন্ড চলে আসবে। ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের হাজার হাজার কোটি টাকার সক্ষমতা বেড়ে যাবে। ঠিক কত হাজার কোটি টাকা বাড়বে এর সংখ্যাটা না বলতে পারলেও এটা অনেক বড় হবে। মার্চে অনেক সুখবর আসা শুরু হবে।”

তার এই বক্তব্য আসে লেনদেন চলার সময়ই। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুই হয় সূচক বেড়ে। মাঝে কমলেও শেষ আধা ঘণ্টায় তা আরও বেড়ে যায়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত