সকল মেনু

ডিপিডিসিকে শত কোটি টাকার তার সরবরাহ করবে বিবিএস কেবলস

স্টাফ রিপোর্টার: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিএস কেবলস লিমিটেড সম্প্রতি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) লিমিটেডের সঙ্গে শত কোটি টাকার বেশি মূল্যের তামার তার সরবরাহসংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছে। এরই মধ্যে চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

মূল্যসংবেদনশীল তথ্যের মাধ্যমে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি।

তথ্য অনুসারে, বিবিএস কেবলসের কাছে গত ২৩ মে চুক্তির বিষয়টি জানিয়ে একটি নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) পাঠায় ডিপিডিসি। চুক্তিসংক্রান্ত এ নোটিফিকেশন পাওয়ার খবরটি এর পর পরই বিএসইসি চেয়ারম্যানকে অবহিত করে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি।

এ এনওএর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ডিপিডিসির সঙ্গে ১১কেভি থ্রি-কোর ৩০০ এসকিউ এমএম এক্সএলপিই তামার তার সরবরাহসংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছে বিবিএস কেবলস। চুক্তি অনুসারে, কোম্পানিটি ডিপিডিসিকে ১০৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৯০ টাকার তামার তার সরবরাহ করবে।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) বিবিএস কেবলসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৩ টাকা ১ পয়সা। আর সর্বশেষ দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৬১ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৮৭ পয়সায়।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে বিবিএস কেবলস। এর মধ্যে ৮ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ রয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ টাকা ৬১ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ৯৬ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩১ টাকা ৯০ পয়সায়।

সর্বশেষ ঋণমান অনুসারে, কোম্পানিটির সার্ভিলেন্স এনটিটি রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘‌এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি-টু’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড।

এর আগে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২০২১ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে বিবিএস কেবলস। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ রয়েছে। ২০১৯-২০ হিসাব বছরের শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল বিবিএস কেবলস। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও বাকি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল বিবিএস কেবলস। তার আগের হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

২০১৭ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২১১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪৯৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২১ কোটি ১৭ লাখ ৯ হাজার ৭৬৮। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৪৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৪৭ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার বিবিএস কেবলসের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা ও ৬৫ টাকা ৯০ পয়সা।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১২ দশমিক ৪৪, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে যা ১১০ দশমিক শূন্য ৭।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top