সিনিয়র রিপোর্টার: বীমা খাতের ছয় কোম্পানি দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন’২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ৩ কোম্পানির মুনাফায় সুবাতাস বইলেও মুনাফা গত বছরের তুলনায় ভাটা পড়েছে ৩ কোম্পানি।কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে ইপিএসের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
কোম্পানিগুলো হলো- ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৮৮ পয়সা আয় হয়েছিল। হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৩-জুন,২৩) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩২ টাকা ৬৯ পয়সা।
সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৫ পয়সা। দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ০৪ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৭০ পয়সা।
প্রগতি ইন্স্যুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা। দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ০২ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৭৪ পয়সা।
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৫ পয়সা। দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৯২ পয়সা।
পদ্মা ইসলামী লাইফ: চলতি বছরে প্রথম ৩ মাসে কোম্পানিটি ৩ কোটি ১৭ লাখ ১৪ হাজার ৫৭৯ টাকার প্রিমিয়াম আহরণ করেছে, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২৩৯ কোটি ৭৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। আগের বছর একই সময় লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ছিল ১৩ কোটি ১৭ লাখ ৭ হাজার টাকা।
ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স: ছয় মাসে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯২৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময় লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৫০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানিটির তহবিল বেড়েছে ৩ হাজার ৭৯ কোটি ৪ লাখ টাকার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।