আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সুদ আয় বেড়েছে ১৪ শতাংশ। একই প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ২১ শতাংশ।
কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের সুদ আয় হয়েছে ১৯৭ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১৭৩ কোটি টাকা। কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে আইপিডিসির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২৪ পয়সা। সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
আগামী ১৬ মে বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি।
তথ্য অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে আইপিডিসির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯২ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৪৩ পয়সা। সে হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৬২ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১৯ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডোরদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করে আইপিডিসির পর্ষদ। আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪৩ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৩৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা এবং আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৭ টাকা ১২ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আর্থিক খাতের কোম্পানিটি। প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয় ২ টাকা ৩৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭ টাকা ১২ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স। প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ শেষে প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস ছিল ১৬ টাকা ৩৪ পয়সা।
কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং প্রকাশের দিন পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইপিডিসির অনুমোদিত মূলধন ৮০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৮৯ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৬৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৮ কোটি ৯৬ লাখ ৪৬ হাজার ১২৫। এর মধ্যে ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে।
এছাড়া সরকারের কাছে ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।