শাহীনুর ইসলাম: প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২০২১ সালের শেষের দিকে পুঁজিবাজারে যুক্ত হয়েছে একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড। কোম্পানির প্রথম শেয়ার গত বছরের ১৪ নভেম্বর লেনদেনের পর থেকেই শেয়ারপ্রতি দর উত্থানে রয়েছে।
করোনা সংক্রমণ কমতে থাকলেও প্রভাব বাড়ার মতো তেমন মুনাফা না বাড়লে ১০ টাকা অভিহিত মূলের শেয়ার দর বেড়েছে ৪গুণ। পুঁজিবাজারে একই সময়ে অন্যসব কোম্পানির শেয়ার দরে মারাত্বক প্রভাব পড়লেও একমি পেস্টিসাইডসের শেয়ার দরে তার প্রভাব পড়েনি।
২০২১ সালে কোম্পানির বার্ষিক টার্নওবার ছিল ১৬৪ কোটি টাকা। চলতি বছরেও তা অব্যহত থাকবে বলে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কোম্পানির উৎপাদন ও মুনাফা সম্পর্কে কোম্পানির সিএফও মি. সেলিম বলেন, গত বছরে কোম্পানির বার্ষিক লেনদেন ছিল ১৬৪ কোটি টাকা; এবারো তাই অব্যহত রাখতে চাই। তবে আমাদের উৎপাদন ও বিপনন ব্যবস্থা অনেক ভালো চলছে।
রাজধানীর শ্যামলীতে কোম্পানির অফিসে সম্প্রতি সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, আমরা বিনিয়োগ নিরাপত্তা নিয়েও ভাবি। তাই একমি পেস্টিসাইডে বিনিয়োগ করে কেউ হতাশ হবেন না। আগামী অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে পর্যদ সভার আভাস দিয়ে তিনি।
কৃষিখাতের উন্নয়নে পরিবেশ বান্ধব কীটনাশক, সার এবং উন্নতমানের বীজ উৎপাদন করে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে নেয়া ৩০ কোটি টাকায় ফ্যাক্টরি বিল্ডিং, বৈদ্যুতিক নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ অনেক দূর এগিয়েছে।
তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, নতুন বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্যাক্টরিতে নুতন মেশিনে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হবে।
২৪ মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্নের নিয়ম অনুসারে এবং ৩০ জুনের অডিট রিপোর্ট হিসেবে ২কোটি ২৭ লাখ টাকায় ফ্যাক্টরি নির্মাণকাজ ৭৭.৬১ শতাংশ এগিয়েছে।
চলতি বছরের ৩০ জুন হিসেবে ৩ কোটি ৭১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৬১ টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। তার মধ্যে ফ্যাক্টরি নির্মাণকাজে ২কোটি ২৭ লাখ টাকা ২৫ হাজার, আইপিও ইস্যুতে ১ কোটি ৪৪ লাখ ২২ হাজার ৫৬১ টাকা ব্যবহার করা হয়।
চলতি হিসাববছরে মুনাফার হিসেবে প্রথম প্রান্তিকে আয় বাড়লে তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) প্রায় অর্ধেক কমে হয়েছে ৩১ পয়সা; যদিও গত বছর একই সময়ে ছিল ৫৯ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা; গত বছর একই সময়ে ছিল ৬৩ পয়সা। তবে প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জুলাই’২১-ডিসেম্বর’২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯৯ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১১ পয়সা।
১৪ নভেম্বর’২১ অনুষ্ঠিত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৭ পয়সা; আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৪৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
তবে নতুন বছরে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উম্মোচন করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আরিফুর ইসলাম বলেন, আমাদের সকল তথ্য ওয়েবসাইটে দেয়া দেয়া আছে। যেসব তথ্য নির্ভরতায় একজন বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করবেন, তার সবটুকু আমরা দিয়ে রেখেছি। ‘গুড গর্ভর্ন্সেস’ আমরা পরিপালন করে থাকি।
চলতি বছরে মহাসংকটকালেও কোম্পানির শেয়ারপ্রতি দর ভাটির পথে ভাসেনি। বরং ১৪ নভেম্বর প্রথম লেনদেনের পরে উত্থানে থেকেছে। ৮ আগস্ট মহাসংকটের দিনে কোম্পানির সর্বোচ্চ দর ছিল ৪২.৯০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সামান্য দর কমে ৪০.৪০ টাকায় দর স্থির হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।