Homeঅনুসন্ধানী প্রতিবেদনবিনিয়োগকারীর ১২০ টাকা নেই প্রতি শেয়ারে, ইপিএস কমেছে ৭৬ পয়সা

বিনিয়োগকারীর ১২০ টাকা নেই প্রতি শেয়ারে, ইপিএস কমেছে ৭৬ পয়সা

স্টাফ রিপোর্টার : সিরামিক খাতের স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গেল ৮ কর্মদিবস ধরে দর হারাচ্ছে শেয়ারের। সেইসঙ্গে নতুন করে ঋণের আবেদন করে কোম্পানিটি। আর, শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৭৬ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণে দেখা যায়- মঙ্গলবার (১৯  জুলাই/২০২২) থেকে টানা পতন শুরু হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের শেয়ারদরে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই/২০২২) পর্যন্ত এ চিত্র বিরাজমান।

এর আগে সোমবার (১৮ জুলাই/২০২২) শেয়ারটির দর ছিল ১৬১ টাকা ৬০ পয়সা। মঙ্গলবার ৩ টাকা কমে শুরু হয় টানা পতনের ধারাবাহিকতা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮ দিনে ২০ টাকা  দর হারিয়ে শেয়ারটি সর্বশেষ ১৪১ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের গেল ১ বছরের শেয়ার লেনদেনের গ্রাফ  অনুযায়ী, ২০২১ সলের ৯ সেপ্টেম্বর এ শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৬১ টাকা ৬০ পয়সা। শেয়ারটি প্রায় ১১ মাসে ১২০ টাকা দর হারিয়ে গেল বৃহস্পতিবার সর্বশেষ ১৪১ টাকায় দাঁড়ায়। অর্থাৎ, শেয়ারপ্রতি বিনিয়োগকারীদের ১২০ টাকা হাওয়া।

কোম্পানির শেয়ারদর গত ১ বছরে ১২২ টাকা থেকে ২৬৭ টাকা ২০ পয়সায় ওঠা-নামা করে।

শেয়ারমার্কেটে ১৯৯৬ সালে তালিকাভূক্ত স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক নতুন করে ১৫ কোটি টাকা ব্যাংকঋণের জন্য ১৭ জুলাই/ ২০২২ আবেদন করেছে। কারণ হিসেবে কোম্পানিটি  জানায়- প্রথমত, ২০১৯-২০ সালে পুনরায় Glost Kiln তৈরি করা হয়েছিল এবং ওইসময় আনুমানিক ৩ মাসের জন্য কারখানাটি আংশিকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, কোভিড-১৯ এর জন্য ৩ মাস পুরোপুরি বন্ধ ছিল উৎপাদন কার্যক্রম। তৃতীয়ত, বর্তমানে সংঘটিত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সমস্ত কাঁচামালের দামের অস্বাভাবিক উর্দ্ধগতি, জাহাজীকরণ এবং পরিবহন খরচ বাবদ ব্যয় বেড়ে যাওয়া। চতুর্থত, সাম্প্রতিক বন্যার কারণে বাজার প্রভাবিত হওয়া।

এর আগে স্বল্পমেয়াদী ১ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ ছিল স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের। আর, দীর্ঘমেয়াদী ঋণ ছিল ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী মিলে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ রয়েছে কোম্পানিটির।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের পর্ষদ সভায় অনুমোদিত ৩য় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-৩১ মার্চ/২০২২ শেষে) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১০ পয়য়সা। আগের বছর একই সময় যা ৮৬ পয়সা ছিল। এতে ইপিএস কমেছে ৭৬ পয়সা।

আবার, জুলাই/২০২১ থেকে মার্চ/২০২২ পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল ৬৪ পসা। অর্থাৎ, জুলাই থেকে মার্চ প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য ৭ টাকা ৪২ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। আর, রিজার্ভ ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা মাইনাসে রয়েছে।

তবে, ইতোমধ্যে লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় এসেছে কোম্পানিটি। কোম্পানির ২০২১ হিসেব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এর নিট মুনাফা হয়েছে ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। -যা আগের বছর একই সময় ৪ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা লোকসানে ছিল।

 

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত